রাজপথের ধ্রুপদী হাবিব-উন-নবী খাঁন সোহেল
তিনি নেতৃত্বের স্বমহিমায় নিজেকে নিজেই ছাড়িয়ে গেছেন বারংবার। ছাত্রজীবন থেকেই ষড়যন্ত্রের শিকল কেটেছেন যোগ্যতার শাবল দিয়ে। জাতীয়তাবাদী পরিবারের ছায়াতলে আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে নিজেকে মেলে ধরেছেন। যে পরিবারের ছায়াতলে নিজেকে সমর্পন করেছিলেন সময়ের পরিক্রমায় এখন তিনিই সেই পরিবারের বটবৃক্ষ। তার শেকড় থেকে গজিয়েছে হাজার হাজার বিপ্লবী। ছাত্রদলের ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব দেওয়া শেষ হতেই দেশনেত্রী তার হাতে তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্ব। সেখানেও তিনি সফলতার ফুল ফুটিয়েছেন। কন্টকাকীর্ণ বাগান থেকে ফুল তুলে তুলে সুবাসিত ফুলের মালা গেঁথেছেন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল পেয়েছিলো শক্তিশালী ভিত্তি, যা কিনা আজ পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সবচাইতে শক্তিশালী সহযোগী সংগঠন হিসেবে।
অতঃপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সবচাইতে ক্রান্তিকালে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি-র। দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার জন্য স্বৈরাচার সরকারের ১৪৪ ধারা ভাঙার মহানায়ক হাবিব-উন-নবী খাঁন সোহেল। তিনি তার দীর্ঘাকায় দেহ দিয়ে দেশমাতার গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যান ভ্যান গার্ড হয়ে। বিএনপির মত সর্ববৃহৎ দলের সিনিয়র নেতা হওয়া সত্ত্বেও বয়সকে কোনদিন সংখ্যায় বেঁধে ফেলেননি। তিনি পঞ্চাশোর্ধ বয়সে এসেও প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের সন্তানদের পিতৃস্নেহ দিয়ে আগলে ধরে নিজের পিঠে নিয়েছেন পুলিশের লাঠি আর বুলেট।
তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে আজ অবধি দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে নিজেকে রেখেছেন আপোষহীন; জীবনকে ফেলেছেন হুমকির মুখে। হাসিনার তীব্র বিরোধী মনোভাবের কারণে হাসিনার টার্গেটে পরিণত হোন তিনি। তার নামে এক এক করে দেওয়া হয় পাঁচ শতাধিক মামলা। সকাল হলেই স্কুলের বাচ্চারা যেমন ব্যাগ কাঁধে স্কুলে ছোটে, কৃষক কাস্তে-কোদাল-জোয়াল নিয়ে মাঠে ছোটেন, তেমনিভাবে তিনি ছুটতেন আদালতে! আদালতের প্রতিটি সিঁড়ি তার পদচারণায় ভারী হয়ে উঠতো প্রতিদিন। মামলা সংখ্যা এত বেশি ছিলো যে, প্রতিদিন তার ৬/৭ টা মামলায় হাজিরা দিতে হতো! এক কোর্টের শুনানি শেষ না হতেই দৌড়ে যেতেন আরেক কোর্টে! এমনও নির্মম দৃশ্য দেখতে হয়েছে যে বুলেটের তীব্র ক্ষত নিয়েও অ্যাম্বুলেন্স-এ এসে হাজিরা দিতে হয়েছে কোর্ট প্রাঙ্গণে।
এত ত্যাগ ও দলের প্রতি একাগ্রতা তাকে সারা বাংলাদেশে দিয়েছে অনন্য মর্যাদা। তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শের সূর্য সৈনিকদের কাছে অনুকরণীয় ব্যাক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। মাওলানা ভাসানী কিংবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মত সাধারণ জীবন যাপনের কারণে তিনি থাকেন তৃণমূলের হৃদয়ে, থাকেন দূর দূরান্তের মানুষের মোনাজাতে। তার আদর্শ দেখে সবাই উদ্বেলিত হন। সংসদের মত পবিত্র জায়গায় তাকে সবাই দেখতে চান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিএনপি-র প্রাথমিক মনোনীত তালিকায় তার নাম না দেখে আশাহত হয়েছে অগণিত তরুণ। সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে সবার প্রশ্ন ত্যাগের মাপকাঠি কী? সবাই আশাবাদী ত্যাগ ও পরিশ্রমের মূল্যায়ন হিসেবে সোহেল ভাই সংসদে যাবেন গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে।
বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারি হাবিব-উন-নবী খাঁন সোহেল সততা, সাহসিকতা, আদর্শ রাজনীতি অঙ্গনে এক অনন্য মানুষ। রাজনীতিবিদ কর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়ে মমতার পরশ বুলিয়ে দেন তিনি। একজন লড়াকু সৈনিক হিসেবে রাজপথে সাহসের প্রতীক হাবিব-উন-নবী খাঁন সোহেল। তিনি রাজনৈতিক কর্মীদের পুলিশের নির্মম অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে ঢালস্বরূপ হয়ে সামনে এসে দাঁড়ান। জনবান্ধব হাবিব-উন-নবী খাঁন সোহেল বিএনপির মনোনীত হয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের মুখপাত্র হবেন। এই প্রত্যাশায় এদেশের আপামর জনগণের।

